অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আলু রফতানির জন্য বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশের আবহাওয়া ও মাটি আলু উৎপাদনের জন্য খুবই অনুকূল। বর্তমানে বছরে এক কোটি টনের বেশি আলু উৎপাদন হচ্ছে। আমাদের প্রয়োজন বছরে ৮০ লাখ টন। বাকি ২০ লাখ টন রফতানির সুযোগ রয়েছে। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বিকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘রাশিয়ায় দীর্ঘদিন আলু রফতানি বন্ধ ছিল। এখন আমাদের আলু রোগজীবাণু মুক্ত ও নিরাপদ করেছি। এই নিশ্চয়তা পেয়েই রাশিয়া রফতানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। এ বছর খুব বেশি না হলেও আগামী বছর দেড় থেকে দুই লাখ টন আলু রফতানি সম্ভব হবে।’
মঙ্গলবার আলু রফতানির জন্য বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়। বাংলাদেশের পক্ষে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ এবং রাশিয়ার পক্ষে ন্যাশনাল গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার মিয়া চুক্তিতে সই করেন। এ সময় কৃষিমন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন– কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার, বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি ও বিএডিসির সদস্য পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান।
আলুতে ক্ষতিকর ব্রাউনরট রোগের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ায় ২০১৪ সাল থেকে আলু রফতানিতে রাশিয়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। আলুকে ব্যাকটেরিয়ামুক্ত ও নিরাপদ করতে বাংলাদেশ সরকার অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করায় ২০২২ সালের মার্চে রাশিয়া এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। এ সিদ্ধান্তের ফলে রাশিয়ায় বাংলাদেশের আলু রফতানির একটি বিশাল দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। ২০১৫ সালে সর্বশেষ রাশিয়ায় ২০ হাজার টন আলু রফতানি হয়েছিল।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে ২০২০-২১ সালে আলু উৎপাদন হয়েছে ৯৯ লাখ টন। রফতানি হয়েছে ৬৮ হাজার ৭৭৩ টন। ২০২১-২২ সালে উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ২ লাখ টন। ৭৮ হাজার ৯১০ টন রফতানি হয়েছে। ২০২২-২৩ সালে ১ কোটি ১১ লাখ টন উৎপাদন হয়েছে। জানুয়ারি (২০২৩) পর্যন্ত রফতানি হয়েছে ১৩ হাজার টন।
Leave a Reply